ইনসাইডার থ্রেটস: বোঝা এবং প্রতিরোধ কৌশল ইনসাইডার থ্রেটস এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ঝুঁকি যা একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ সদস্যদের দ্বারা সৃষ্ট হয়। এটি কর্মচারী, কন্ট্রাক্টর বা যে কেউ হতে পারে যার সংগঠনের সিস্টেম এবং ডেটার প্রতি প্রবেশাধিকার রয়েছে। এই ধরনের থ্রেট বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে, যেমন তথ্য চুরি, ক্ষতিকর উদ্দেশ্য বা অসাবধানতা। ইনসাইডার থ্রেটসের ফলাফল গুরুতর হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৩ সালে অ্যাডোবের এক কর্মচারী তার প্রবেশাধিকার ব্যবহার করে ২.৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে। এই ঘটনার ফলে অ্যাডোবের খ্যাতি ক্ষুণ্ন হয় এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বিপন্ন হয়। ২০২০ সালে টেসলার একজন কর্মচারী গোপন তথ্য চুরির চেষ্টা করেছিল, যার ফলে কোম্পানির জন্য বিশাল আর্থিক ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতার প্রকাশ ঘটে। প্রতিরোধ কৌশল ইনসাইডার থ্রেটস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করতে পারে: নিয়মিত নজরদারি: কর্মচারীদের কার্যকলাপের উপর অবিরত নজরদারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক আচরণ চিহ্নিত করা সম্ভব। অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: সংবেদনশীল তথ্য ও সিস্টেমের প্রতি প্রবেশাধিকার সীমিত করা আবশ্যক। কর্মচারীদের শুধুমাত্র তাদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের ওপর প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। "ন্যূনতম অধিকার" প্রবেশাধিকার মডেল বাস্তবায়ন করে এই ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। কর্মচারী প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা: কর্মচারীদের সাইবার নিরাপত্তা এবং ইনসাইডার থ্রেটস সম্পর্কে সচেতন করা অপরিহার্য। নিরাপত্তা নীতি, তথ্যের গোপনীয়তা এবং তথ্য চুরির ফলাফল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। গোপন রিপোর্টিং ব্যবস্থা: সন্দেহজনক কার্যকলাপ রিপোর্ট করার জন্য একটি নিরাপদ এবং গোপনীয় রিপোর্টিং ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থা কর্মচারীদের নিরাপত্তা সমস্যা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা: একটি সমন্বিত ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা তৈরি করা নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ইনসাইডার থ্রেটস মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। এই পরিকল্পনায় সন্দেহজনক কার্যকলাপের তদন্ত এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ইনসাইডার থ্রেটস প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ, কারণ এটি প্রায়শই ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে যারা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সম্পর্কে পরিচিত। শক্তিশালী নজরদারি পদ্ধতি গ্রহণ, কঠোর অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কার্যকর রিপোর্টিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো ইনসাইডার থ্রেটসের বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারে। শেষ পর্যন্ত, কর্মচারীদের মধ্যে নিরাপত্তা সচেতনতার সংস্কৃতি তৈরি করা সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের অখণ্ডতা রক্ষায় অপরিহার্য।
The CIRT Infra team celebrated a memorable October evening with a delicious buffet. We honored Shantanu Dey Anik's impressive career growth and wished him well as he embarks...
16 hours ago
Read more২০২৪ সালে এআই-চালিত ব্যক্তিগতকৃত প্রতারণা, শিক্ষা ঋণ মওকুফ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফোন কল, চাকরি ও সরকারি সহায়তা নামে ছদ্মবেশে প্রতারণার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সতর্কতা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে নিরাপদ থাকুন। ...
1 week ago
Read more৭-জিপে গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি (CVE-2024-11477) আবিষ্কৃত হয়েছে। অবিলম্বে 24.07 সংস্করণে আপডেট করুন; অন্যথায় ক্ষতিকারক কোড চালানোর ঝুঁকি রয়েছে। ...
3 weeks ago
Read more"Legion Stealer V1" নামক একটি নতুন ও বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার সাইবার জগতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এটি ব্যবহারকারীদের ওয়েবক্যাম অ্যাক্সেস করে রেকর্ডিং করতে, Chrome, Edge, Opera GXসহ জনপ্রিয় ব্রাউজার ও Discord অ্যাকাউন্টের...
3 weeks ago
Read morePosted by Luthfea Washefa Orpa, 1 month ago