২০২৪ সালের শীর্ষ স্ক্যামসমূহ: ১. এআই-সৃষ্ট কাস্টমাইজড স্ক্যাম (AI-Generated Personalized Scams): স্ক্যামাররা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে এমন স্ক্যাম তৈরি করছে যা ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও বিশ্বাসযোগ্য বার্তা তৈরি করতে সক্ষম। এই স্ক্যামগুলির মধ্যে, স্ক্যামাররা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, পাবলিক রেকর্ড এবং অনলাইন সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, যাতে তারা আপনাকে আপনার নাম, বন্ধুদের নাম, আপনার সম্প্রতি কেনাকাটা করা জিনিস বা এমনকি আসন্ন ইভেন্টগুলির কথা উল্লেখ করে। উদাহরণস্বরূপ, স্ক্যামাররা এমন একটি মেইল পাঠাতে পারে যা আপনার সাম্প্রতিক অনলাইন কেনাকাটা বা বন্ধুদের নাম উল্লেখ করে। এসব মেসেজগুলো বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় এবং অনেকেই সহজেই প্রতারণার শিকার হয়। প্রতিরোধ: অপ্রত্যাশিত বার্তা বা ইমেইলের সত্যতা যাচাই করুন। অজ্ঞাত নম্বর বা মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। ২. শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফ স্ক্যাম (Student Loan Forgiveness Scam): শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের নামে স্ক্যাম বৃদ্ধি পেয়েছে। স্ক্যামাররা দাবি করে যে, তারা সরকারি সংস্থা অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যারা ঋণ মওকুফের সুবিধা প্রদান করছে। তারা ফোন, ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্সট্যান্ট লোন বা ঋণ মওকুফের প্রলোভন দিয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বা আর্থিক তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে। প্রতিরোধ: সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই এমন ধরনের যোগাযোগ হবে না। সবসময় সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যাচাই করুন। অগ্রিম ফি না দিয়ে কোনো সাহায্য গ্রহণ করবেন না। ৩. ডিজিটাল মুদ্রা স্ক্যাম (Cryptocurrency Scams): ডিজিটাল মুদ্রার প্রতি আগ্রহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে স্ক্যামাররা সস্তায় ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার প্রলোভন দিয়ে লোকজনকে প্রতারণা করছে। তারা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগের জন্য উচ্চ রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে এবং দাবি করে যে, তারা কোনো ক্রিপ্টো বা ব্লকচেইন কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করছেন। পরে, এই স্ক্যামাররা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বা ক্রিপ্টো ওয়ালেটের পাসওয়ার্ড চুরি করে নেয়। প্রতিরোধ: পরিচিত না হওয়া অথবা সন্দেহজনক ডিজিটাল মুদ্রা অফার থেকে দূরে থাকুন। কোনো অফার যদি খুব ভালো মনে হয় তবে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি হয়তো একটি স্ক্যাম। কেবলমাত্র বিশ্বস্ত ও অনুমোদিত প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ করুন। ৪. ফোন কল স্ক্যাম (Phone Scams): ফোন স্ক্যামগুলি এক সময় পরিচিত ছিল, তবে স্ক্যামাররা আরো সুনির্দিষ্টভাবে ভুয়া ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণা করছে। তারা বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারি অফিস, বা জনপ্রিয় কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এমন ফোন কল করে, যাতে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, 'আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে' অথবা 'ট্যাক্স সম্পর্কিত সমস্যা হয়েছে' এমন মিথ্যা দাবি করা হয়। প্রতিরোধ: *অজানা নম্বর থেকে ফোন কল এড়িয়ে চলুন, এবং যদি কোন জরুরি বিষয় থাকে তাহলে তা নিজে থেকে অফিসিয়াল সূত্রে যাচাই করুন। কখনোই ফোনে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পাসওয়ার্ড তথ্য শেয়ার করবেন না। সন্দেহ হলে ফাঁদে পড়ার আগেই কলটি টানুন এবং অফিশিয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে যাচাই করুন। ৫. চাকরি স্ক্যাম (Job Scams): চাকরির ভুয়া অফারও একটি বড় স্ক্যাম হিসেবে দেখা দিয়েছে। স্ক্যামাররা আপনাকে মিথ্যা চাকরির অফার দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে, বিশেষত তারা কখনোই অ্যাডভান্স ফি নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, তারা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে থাকে বা নিরাপত্তা চেকের নামে অর্থ দাবি করতে পারে। প্রতিরোধ: চাকরির অফার সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাচাই করুন। কোন কোম্পানী আপনাকে অগ্রিম অর্থ দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করুন। চাকরির ইন্টারভিউ কিংবা প্রস্তাবের জন্য কোনো অর্থ আদায় হলে, তা ভুয়া হতে পারে। ৬. সরকারী সাহায্য স্ক্যাম (Government Assistance Scams): সরকারী সাহায্য বা জরুরি সহায়তা নিয়ে স্ক্যামাররা প্রতারণা করছে। তারা সাধারণত ভুয়া ইমেইল বা ফোন কলের মাধ্যমে দাবি করে যে, তারা আপনাকে সাহায্য করবে, কিন্তু পরিবর্তে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে বা অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই স্ক্যামগুলি সাধারণত অর্থ প্রদান বা সুবিধা পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। প্রতিরোধ: সরকারি সাহায্য বা স্কিম সম্পর্কিত তথ্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাচাই করুন। কখনোই অনলাইনে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পাসওয়ার্ড তথ্য শেয়ার করবেন না। সন্দেহ হলে, ইমেইল বা ফোন কলের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিন এবং কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে দিন। সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন! 🛡 #CIRT_News #cybersecurity
DeepSeek-এর ডেটা লিকে প্রায় ১২,০০০ API কী, পাসওয়ার্ড ও টোকেন প্রকাশিত হয়েছে, যা গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিরোধে নিরাপদ কোডিং, গোপন তথ্য স্ক্যানিং ও কনস্টিটিউশনাল AI ব্যবহার...
20 hours ago
Read moreকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি কোডে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। অনিরাপদ প্র্যাকটিস, ইনপুট ভ্যালিডেশনের অভাব, ও গোপন তথ্য ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। ম্যানুয়াল পর্যালোচনা, ইনপুট স্যানিটাইজেশন, ও নিরাপত্তা আপডেটের মাধ্যমে ঝুঁকি...
1 week ago
Read moreজেনারেটিভ AI-এর উত্থানে ডিপফেক, ভয়েস ক্লোনিং, ও AI-চালিত ফিশিংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আক্রমণ বেড়েছে; সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিহার্য।...
1 week ago
Read more# বিভিন্ন ধরণের ম্যালওয়্যার এবং তাদের কার্যক্রম ম্যালওয়্যার (Malware) হলো এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা কম্পিউটার, মোবাইল, বা নেটওয়ার্কে ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হয়। বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তার জন্য...
2 weeks ago
Read morePosted by Delowar Hossain, 2 months ago